নাভারণ-নিজামপুর সড়কে যান চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপোযোগী। চরম ভোগান্তিতে ঐ অঞ্চলের মানুষ।
নাভারণ-নিজামপুর সড়কে যান চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপোযোগী। চরম ভোগান্তিতে ঐ অঞ্চলের মানুষ। মীর ফারুক শার্শা (যশোর) প্রতিনিধিঃ নাভারণ সেবা ক্লিনিক মোড় থেকে নিজামপুর বাজার পর্যন্ত ৬ (ছয়) কিলোমিটার সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এখন যান চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। পুরো সড়ক জুড়ে পিচের সলিং উঠে ছোট বড় খানা খন্দে ভর্তি। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কের খানা খন্দে পানি জমে যান চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন তিনটি ইউনিয়নে কয়েক হাজার মানুষ দৈনন্দিন কাজে নাভারণ বাজারে আসে। সড়কের বেহালদশার কারণে ডিহি ইউনিয়ন, লক্ষণপুর ইউনিয়ন, নিজামপুর ইউনিয়ন শার্শা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। নাভারণ বাজারের সাথে যোগাযোগের প্রধান সড়কটি এমন বেহালদশায় ঐ অঞ্চলের স্কুল কলেজ পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী, চাকুরীজিবী ও ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এই সড়কে কোন রোগীকে এ্যাম্বুলেন্স বহনে রোগী আরও অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। সড়কের বেহালদশার কারণে প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তাটি ব্যবহারকারী যানবাহনসমুহ। ডিহি, লক্ষনপুর ও নিজামপুর ৩টি ইউনিয়নের ৭টি পাকশিয়া বাজার, সাড়াতলা বাজার, কাশিপুর বাজার, শিকারপুর বাজার, লক্ষণপুর বাজার, গোড়পাড়া গোড়পাড়া বাজার ও নিজামপুর বাজারে ব্যবসা বানিজ্যের মূল কেন্দ্র নাভারণ বাজারকে ঘিরেই। কিন্তু সড়কে বেহালদশার ফলে ঐ অঞ্চলে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বানিজ্যে প্রভাব পড়েছে। পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীদের বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। ফলে তাদের ব্যবসা বানিজ্যে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। পাকশিয়া সার, ডিজেল ব্যবসায়ী ডাবলু অভিযোগ করে বলেন, নাভারণ-নিজামপুর রাস্তাটি চরম খারাপ অবস্থা হওয়ায় নাভারণ থেকে মাল এনে লাভবান হওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে যায়। রাস্তা খারাপের জন্য পরিবহন বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। বাড়তি ভাড়া না দিলে পরিবহন মাল নিয়ে আসতে চায় না। তিনি রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে দাবি করেন। শার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোহরাব হোসেন বলেন, সড়কটি আসলে মানুষের চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কটি সংস্কারে বাজেট আগে পাশ হলেও বৃষ্টির কারণে সড়ক সংস্কারের কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকুলে আসলে দ্রুত সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।